ইউক্রেনে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বিনিয়োগ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এ সময়।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা জানেন, ইউক্রেনে অনেকদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু এখন নির্বাচন প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি মার্কিন সামরিক সহায়তার অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘এসব অর্থের কী হয়েছে, তা খুঁজে বের করার সময় এসেছে।’
তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই বলেছেন যে, মার্কিন সহায়তার অর্ধেক অর্থের কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না।
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলতে পারি, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে ভালো করছি। আমরা এমন কিছু করতে যাচ্ছি, যা তিনি (জেলেনস্কি) পারেননি। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি সম্ভব।’
জেলেনস্কিকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে ভয়াবহ কাজ করেছেন। তার দেশ ভেঙে পড়ছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ অকারণে মারা যাচ্ছে। যুদ্ধ থামাতে হলে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কিন্তু তারা গত তিন বছর ধরে কোনো আলোচনা করেনি।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুব শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি দেখতে পাবো। এতে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের এপ্রিলে। তখন জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। গত বছর তার মেয়াদ শেষ হলেও যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে তিনি নির্বাচন স্থগিত রেখেছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর পর থেকে যুদ্ধ চলছে। জেলেনস্কি রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগের মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও ট্রাম্প সরকার এসে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্পের ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের নির্বাচন স্থগিত ছিল। সেটি এখন সম্পন্ন করা জরুরি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে গিয়ে চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।’